অবশেষে যে বিশেষ কারণে সৌদি ভিসা সেন্টার থেকে চলে যাচ্ছে আব্দুল হাই!


বিশেষ প্রতিনিধি : সৌদি আরবের শ্রমবাজারের স্বার্থে ভিসা সার্ভিস সেন্টারের দায়িত্ব থেকে সরে যেতে চান বলে জানিয়েছেন বায়রার সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ও বর্তমান কমিটির সদস্য আব্দুল হাই। তিনি বলেন, ভিসা সার্ভিস সেন্টার সাধারণ ব্যবসায়ীদের জন্য সুবিধা। কিন্তু কেউ কেউ বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করছেন।

রবিবার প্রবাস বার্তাকে তিনি বলেন, ‘সৌদি ভিসা সার্ভিস সেন্টার দূতাবাসের সিদ্ধান্ত, এখানে আমরা কোন বিষয় না। আমি না নিলে অন্য কেউ নিতো। এই ভিসা সেন্টারে অন্তত পাঁচটি সুবিধা আছে, যা সাধারণ ব্যবসায়ীদের জন্য অনেক বড় সুযোগ। সেজন্য চাই, ভিসা সেন্টার থাকুক এবং সৌদি শ্রমবাজারও নষ্ট না হোক। প্রয়োজনে আমি সরে যেতে চাই।’

আব্দুল হাই বলছিলেন, ‘আগে সপ্তাহে দুই দিন পাসপোর্ট জমা নিতো দূতাবাস । ভিসা সেন্টার হলে, সপ্তাহে পাঁচ দিন জমা দেয়া যাবে। অনেক এজেন্সি দূতাবাসের তালিকাভুক্তির জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষায় আছে। তারা কোন অতিরিক্ত টাকা খরচ ছাড়াই এই সুবিধা পাবেন। অনেক সময় ছোট কোন ভুলে এজেন্সি স্থগিত করে দূতাবাস, ভিসা সেন্টার হলে এই সমস্যা হবে না। সৌদি অংশের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট লাইসেন্স স্থগিত করে দূতাবাস, ভিসা সেন্টার হলে সেন্টারেই সমাধান করা যাবে।’

আব্দুল হাই বলেন, এতো সব সুযোগ সুবিধা সব বায়রার সাধারণ সদস্যরা ভোগ করতে পারবেন ভিসা সার্ভিস সেন্টার হলে। তাই সাধারণ সদস্যদের শ্রমবাজারের স্বার্থে ভিসা সার্ভিস সেন্টারের পক্ষে থাকার আহবান জানান তিনি। প্রয়োজনে বায়রাকে ভিসা সেন্টার দিয়ে দেয়ার কথা জানান তিনি। এবিষয়ে সকলের সাথে আলোচনায় বসতে চান বলেও জানান জনশক্তি খাতের এই সিনিয়র ব্যবসায়ী।

এদিকে, রবিবার (৩০ জুন) সকালে দূতাবাস থেকে মৌখিকভাবে জানানো হয়, আগের নিয়মেই পাসপোর্ট জমা নেয়া হবে। কোন ভিসা সেন্টারে জমা নেয়া হচ্ছে না।

রবিবার ঢাকায় রাজকীয় সৌদি দূতাবাসে ভিসা স্টিকারের জন্য পাসপোর্ট জমা দিতে যাওয়া রিক্রুটিং এজেন্সির এক প্রতিনিধি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন । প্রবাস বার্তাকে তিনি জানান, ‘ দূতাবাসের কর্মকর্তা আমির আলী তাদেরকে জানিয়েছে, আগের নিয়মেই সরাসরি দূতাবাসেই পাসপোর্ট জমা নেয়া হবে। কোন ভিসা সেন্টারে জমা দিতে হবে না।’